কিন্তু রান পাহাড়ের নিচে চাপা পড়া বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানদের কোনো সুযোগই দেয়নি কিউই বোলাররা। একাদশে সুযোগ পাওয়াটা কাজে লাগাতে পারেননি নাজমুল হোসেন শান্ত (৮)। টড অ্যাশটেলের বলে বোল্ড হোন তিনি। কিউই স্পিনার এর আগে ফেরান নাঈমকে।  পরের শিকার হিসেবে তুলে নেন আফিফ হোসেন (৮) ও মেহেদি হাসানকে (০)। মাঝখানে কেবল দুই অঙ্কের রান ছুঁয়েছেন একাদশে সুযোগ পাওয়া মোসাদ্দেক হোসেন (১৩)। শরিফুল ইসলাম (৬), তাসকিন আহমেদ (৫)  ও নাসুম আহমেদ কেবল রানের ব্যবধান সামান্যটুকু কমিয়েছেন।

রুবেল হোসেন অপরাজিত ছিলেন ৩ রানে।এর আগে অকল্যান্ডের ইডেন পার্কে  টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরু থেকে ঝড় তুলেন দুই কিউই ওপেনার গাপটিল ও অ্যালেন। টাইগারদের আবারও একের পর এক ক্যাচ মিসের মহড়ায় ৫.৪ ওভারে দলকে ৮৫ রান এনে দেন তারা। এই ম্যাচেও পাঁচটি ক্যাচ মিস করেছে বাংলাদেশের ফিল্ডাররা।তবে এর মাঝে ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠা গাপটিলকে ফেরান মেহেদি। সাজঘরে ফেরার আগে ১৯ বলে ১ চার ও ৫ ছয়ে ৪৪ রান করেছেন তিনি। গাপটিল ফিরলেও ১৮ বলে ফিফটি তুলেন নেন অ্যালেন। তাসকিন আহমেদের বলে সাজঘরে ফেরার আগে ২৯ বলে ১০ চার ও ৩ ছয়ে ৭১ রান করেন তিনি।  তার আগে গ্লেন ফিলিপসকে (১৪) আউট করেন শরিফুল ইসলাম। ইনিংসের শেষ বলে রান আউটের শিকার হন ড্যারিল মিচেল (১১)।

কোনো বলের মুখোমুখি না হয়ে অপরাজিত থাকেন মার্ক চাপম্যান (০)।এই ম্যাচে অধিনায়ক মাহমুদউদল্লাহ রিয়াদকে পায়নি টাইগাররা। উরুতে চোট পেয়ে ছিটকে গেছেন ৩৫ বছর বয়সী অলরাউন্ডার। মাহমুদউল্লাহর পরিবর্তে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব ওঠে লিটনের হাতে। টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের ৭ম অধিনায়ক হিসেবে অভিষেক হয় তার। এছাড়া শেষ ম্যাচে বাংলাদেশ মাঠে নামে তিন পরিবর্তন নিয়ে। একাদশে জায়গা পান শান্ত, মোসাদ্দেক ও রুবেল।মাহমুদউল্লাহ না থাকায় ২০০৬ সালের পর প্রথমবারের মতো পঞ্চপাণ্ডবকে ছাড়া আজ মাঠে নামে বাংলাদেশ।

ওয়ানডে সিরিজে থাকলেও চোটের কারণে টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলেননি মুশফিকুর রহিম। অন্যদিকে ওয়ানডে সিরিজ খেলে দেশে ফেরেন পঞ্চপাণ্ডবের আরেকজন তামিম ইকবাল।সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচ জিতে ২-০ ব্যবধানে আগেই এগিয়ে গিয়েছিল কিউইরা। এবার শেষ ম্যাচে বাংলাদেশকে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টিতে ‘কিউইওয়াশ’ উপহার দিল নিউজিল্যান্ড। এ নিয়ে কিউইদের ঘরের মাটিতে ক্রিকেটের সব ফরম্যাট মিলিয়ে মোট ৩২ ম্যাচে হারলো বাংলাদেশ।